বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৪ অপরাহ্ন
সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর ওপরে হালুয়ারঘাট সেতু নির্মাণ কয়েক লক্ষাধিক মানুষের দীর্ঘ দিনের দাবি। সেতু নির্মাণের দাবিতে এলাকাবাসীসহ সচেতন মহলের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করলেও টনক নড়ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। এদিকে, সেতু না থাকায় কৃষি, স্বাস্থ্য ও পুষ্টিসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন থেকে শুরু করে যোগাযোগ ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে সুরমার উত্তর পাড়ের কয়েক লক্ষাধিক মানুষ। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হালুয়ারঘাট খেয়া দিয়ে সদর উপজেলার সুরমা, জাহাঙ্গীরনগর, রঙ্গারচর ও দেয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষিপুর, সুরমা, বাংলা বাজার, পূর্ব বাংলাবাজার, ভোগলা ইউনিয়নে কয়েক লাখ মানুষ সরাসরি যাতায়াত করে থাকেন। হালুয়ারঘাট সেতু নির্মাণ হলে ছাতক ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের সঙ্গে ওই সকল ইউনিয়নের সরাসরি যোগাযোগের সুযোগ তৈরি হতো বলে জানান অনেকেই। সেতুটি হলে সুরমার উত্তর পাড়ে কৃষিখাতে বৈপ্লবিক উন্নয়ন হতো। এছাড়া সুরমার উত্তরপাড়ের প্রচুর পরিমাণ সবজি চাষ হয়। আর এ খেয়াঘাট দিয়েই সুরমা নদীর পাড় হয়ে জেলা সদর বা জেলার বাহিরে রপ্তানি করে থাকেন চাষিরা। সেতু না থাকায় ওই সকল এলাকায় রাস্তাঘাটের তেমনটা উন্নয়ন হচ্ছে না। ফলে জেলার অন্য উন্নয়ন সূচকের চেয়ে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে পিছিয়ে আছে এ এলাকার মানুষজন। তাই কৃষি উন্নয়ন ও লক্ষাধিক মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের কথা চিন্তা করে হালুয়ারঘাট সেতু নির্মাণে স্থানীয় সংসদসহ সংশ্লিষ্ট মহলের প্রতি তাগাদা জানিয়েছেন ভোক্তভোগীসহ সচেতন মহল। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, হালুয়ারঘাট খেয়া দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী ও শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করে দুপাড়ে খেয়ার জন্যে অপেক্ষা করছেন শতাধিক মানুষ।
সুলেমান নামে এক সবজি ব্যবসায়ী চাষি জানান, সুরমার উত্তর পাড়ে প্রচুর সবজি চাষ হয়। যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো না থাকায় উৎপাদনকৃত সবজি বাজারজাত করতে পারি না। হালুয়াঘাট সেতুটি হলে আমরা আমাদের উৎপাদনকৃত সবজি সহজেই বাজারে নিয়ে গিয়ে অধিক মুনাফা পেতাম।